Header Ads

Header ADS

সি-পুতিন কি অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে আরও দীর্ঘজীবী হতে চান, মাইকে কী ধরা পড়ল তাঁদের কথায়

 

চীনের বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের এক ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কীভাবে জীবন দীর্ঘায়িত করা যায়, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গেছে। গোপন মাইকে তাঁদের এই কথোপকথন ধরা পড়েছে।

কথোপকথনের অনুবাদ অনুযায়ী পুতিন বলেন, বায়োটেকনোলজির নানা উদ্ভাবনের ফলে অমরত্ব লাভ করাও সম্ভব। ওই কথোপকথনের অনুবাদ ধরা পড়ে মাইকে।

সি, পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন যখন বেইজিংয়ের ঐতিহাসিক তিয়েনআনমেন স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন অসতর্কতাবশত চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে মুহূর্তটি ধরা পড়ে।

কথোপকথনটি অনুবাদ করছিলেন সির রুশ দোভাষী এবং পুতিনের মান্দারিন দোভাষী। পরে বিবিসি সেটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছে।

সির রুশ দোভাষীকে রুশ ভাষায় বলতে শোনা যায়—আগে ৭০ বছরের বেশি বাঁচার ঘটনা ছিল বিরল। এখন বলা হয়, ৭০ বছর বয়সের মানুষও শিশু।

এরপর পুতিন কিছু একটা বলেন, যা স্পষ্টভাবে শোনা যায়নি। পরে তাঁর দোভাষী মান্দারিন ভাষায় সে কথার অনুবাদ করে বলেন, বায়োটেকনোলজির উন্নতির ফলে মানুষের অঙ্গ বারবার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। ফলে মানুষ আরও তরুণ থাকতে পারবে, এমনকি অমরত্বও লাভ করা সম্ভব।

এরপর সির দোভাষী বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই শতাব্দীতে মানুষের দেড় শ বছর পর্যন্ত বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরে রুশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন একই প্রসঙ্গ তোলেন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, আধুনিক চিকিৎসা, পুনরুদ্ধারপদ্ধতি, এমনকি অঙ্গ প্রতিস্থাপনসংক্রান্ত অস্ত্রোপচারও মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছে। এসব কারণে মানুষের আয়ু বর্তমান সময়ের তুলনায় অনেক দীর্ঘ হবে। বিভিন্ন দেশে গড় আয়ু ভিন্ন হলেও, এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে আয়োজিত এই সামরিক কুচকাওয়াজে চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের প্রথম প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা যায়। কিছু বিশ্লেষকের মতে, এটি পশ্চিমা বিশ্বকে একপ্রকার বার্তা দেওয়ার কৌশল, যারা দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের এড়িয়ে চলছে।

শুধু পুতিন ও কিম নয়, চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন আরও ২৪ রাষ্ট্রনায়ক। এর মধ্যে ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ আরও অনেকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করছে চীন।


No comments

Powered by Blogger.