দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগের দাবিতে ৪৪তম বিসিএস ক্যাডার প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাডার প্রার্থীরা তিন দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো পিএসসি কর্তৃক পুনঃ ফলাফল প্রকাশের স্পষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং অনতিবিলম্বে পুনঃ ফলাফল প্রকাশ, না হলে বিদ্যমান ফলাফল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো; সরকারের পক্ষ থেকে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের গেজেট প্রকাশ ও চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে লিখিত নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ৪৪তম বিসিএসের গেজেট প্রকাশ ও চূড়ান্ত নিয়োগ নিশ্চিত করা এবং ৪৪তম বিসিএসের গেজেট প্রকাশ ও চূড়ান্ত নিয়োগ সাপেক্ষে পরবর্তী বিসিএসে প্রার্থী সুপারিশ করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সুপারিশপ্রাপ্ত ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে ৩৭২ জন আগেই একই বা সমতুল্য ক্যাডারে (রিপিট ক্যাডার) নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী, বিপিএসসি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সম্মিলিত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ক্যাডারে সুপারিশ করে থাকে। সেই বিধি মেনে ফলাফল প্রকাশ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রিপিট ক্যাডার প্রসঙ্গে বিক্ষোভ এবং গণমাধ্যমে আলোচনার পর মানবিক দিক বিবেচনায় বিপিএসসি সিদ্ধান্ত নেয়, বিধি সংশোধন করে রিপিট ক্যাডারদের স্থলে মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুপারিশ করে পুনঃ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
শাহীন আহমেদ নামের এক প্রার্থী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনী রোডম্যাপের মধ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাসংক্রান্ত নানা জটিলতা নিয়ে উৎকণ্ঠা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যেও এ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। বিধি সংশোধনসংক্রান্ত জটিলতা, ভেরিফিকেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি পরবর্তী সব কার্যক্রম আটকে থাকায় সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০ পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন; উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী। এর প্রায় দেড় বছর পর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থী। প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষাসহ সব ধাপ শেষে ৩০ জুন বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ শূন্য পদের বিপরীতে ১ হাজার ৬৯০ পদে সাময়িকভাবে সুপারিশ প্রদান করে পিএসসি।

No comments